টানা বৃষ্টিতে চট্টগ্রামের মিরসরাই, বরিশাল, নোয়াখালী, বাগেরহাট, পটুয়াখালী, গলাচিপা, পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া এবং লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে হাজারো পরিবার পানিবন্দি হয়ে দুর্ভোগে পড়েছে। তলিয়ে গেছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কসহ গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু সড়ক। পানির নিচে রয়েছে আমন বীজতলাসহ বিভিন্ন সবজি ও ফসল। সংশ্লিষ্ট এলাকার প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:
অবিরাম বৃষ্টির কারণে সোনাপাহাড় এলাকায় আরশিনগর ফিউচার পার্ক থেকে জোরারগঞ্জ সড়কের মাথা পর্যন্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকা তলিয়ে গেছে। ফলে ধীরগতিতে যানবাহন চলাচল করায় পাঁচ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। পানিতে প্লাবিত এলাকায় হাজারো পরিবার পানিবন্দি এবং শত শত একর ফসলি জমি তলিয়ে গেছে।
গত ৭২ ঘণ্টায় পটুয়াখালীতে ৩৮৪ দশমিক ১ মিলিমিটার এবং গত ২৪ ঘণ্টায় ২০৬ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। জেলার বিভিন্ন এলাকায় হাজারো কৃষক পানিবন্দি এবং আমন বীজতলা ডুবে পচে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে।
ভারী বর্ষণ ও জোয়ারের পানিতে উপজেলার নিচু এলাকার কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি। তলিয়ে গেছে বিস্তীর্ণ ফসলি জমি। ভেসে গেছে অসংখ্য পুকুর ও ঘেরের মাছ। ৫০০ হেক্টর ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকার শত শত পরিবার পানিবন্দি। পানের বরজ, সবজি, কলা, পেঁপে গাছের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
নগরীর বিভিন্ন সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। সদর রোড, সাংবাদিক মাইনুল হাসান সড়ক, গির্জা মহল্লা, কাকলীর মোড়সহ অন্যান্য এলাকায় বাসিন্দারা পানিবন্দি।
মোরেলগঞ্জ, শরণখোলা, মোংলা, রামপাল ও কচুয়ার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। শহরের বিভিন্ন এলাকায় পানি জমেছে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাসাবাড়িতে পানি উঠে গেছে।
উপজেলার ১১ ইউনিয়ন ও পৌরসভার নিম্নাঞ্চল তিন-চার ফুট পানিতে ডুবে গেছে। চরের অর্ধশত পরিবার পানিবন্দি এবং ৩০ একর জমির আমন বীজতলা তলিয়ে গেছে।
এমন পরিস্থিতিতে স্থানীয় প্রশাসন ও কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে। তাছাড়া, পানিবন্দি পরিবারগুলোকে জরুরি ত্রাণ সহায়তা প্রদান এবং ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।